বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে এবার নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। জেইই এবং নিট পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ঘিরে তাঁর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এতদিন নানা ইস্যুতেই রাজ্যকে নিশানা করে রীতিমতো তোপ দাগতেন রাজ্যপাল। আর তার জবাব দিতেন তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী অথবা নেতা। এমনকী, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পর্যন্ত কখনও কখনও মুখ খুলেছেন। কিন্তু সেই ভূমিকায় তেমন একটা দেখা যায়নি নুসরতকে।
বসিরহাটের এই সাংসদের সক্রিয়তা এবং জনপ্রিয়তা দেখে তৃণমূলের তরফে এবার দলের মুখপাত্রেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তাই এবার বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে নুসরতকে। এবার তিনি মুখ খুললেন ইঞ্জিনিয়ারিং (জেইই) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট) পরীক্ষা নিয়ে। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে জেইই এবং নিট পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। নানা বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মন্তব্য করলেও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেননি। আর সেই বিষয়টিই এবার প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন নুসরত। স্পষ্টই বললেন, ‘জেইই এবং নিট পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আপনি নিস্তব্ধ। এই ঘটনায় আমি হতবাক। আপনার উচিত দেশের পড়ুয়াদের কথা ভেবে মুখ খোলা।’
প্রসঙ্গত, জেইই এবং নিট পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও দেশের শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরীক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার ওই পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। করোনার জন্য এপ্রিল থেকে একাধিকবার পিছোনোর পর সেপ্টেম্বরের শুরুতে সারা দেশে জেইই মেইন এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা নিট–ইউজি পরীক্ষার দিন ধার্য করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের তৃণমূল–সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। তাদের পাশাপাশি পড়ুয়াদের একাংশও সেই বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেছে।
অন্যদিকে, দেশ ও বিদেশের দেড়শোর মতো শিক্ষাবিদ পড়ুয়াদের স্বার্থেই যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে। তাঁদের বক্তব্য, পরীক্ষার বিষয়টিকে দেশের কিছু দল রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছে। এতে পড়ুয়াদেরই ক্ষতি হবে।